নব আলোকে বাংলা

উত্তরাধিকার। অঙ্গীকার। দূরদৃষ্টি।

 

ম্পাদক

সুপ্রতীক অরূপ ঘোষ

পাঠক পরিষদঃ শুভলগ্না শোয়ারা, চঞ্চল চৌধুরী

 

সম্পাদকীয় ছন্দাবলী - ২৫

 

এ’পার বাংলা ওপার বাংলা মধ্যিখানে চরা
এ’পার বাংলা ওপার বাংলা বৈশাখীতে ধরা
ও’পারে যখন ভোটের আসর
এ’পারে তখন লড়াই বাসর
এ’পারে যখন ভোটের দামামা
ও’পারে তখন আসে স্যাম মামা
দুই বাংলার একটি মিল অনেক মিলের মাঝে
ভোট পর্বের আগে দোঁহায় প্রতিশ্রুতিতে সাজে
এপারে এখন পরিবর্তন
যায় কি তাহারে করা বর্ণন
তবুও মাতে মা - মাটী শুকায়ে ফাটা
মানুষের লাশ সস্তা এখন ধর বা মুন্ড কাটা
পরিবর্তন আসবে কি না জানেনা এখনও মানুষ
রঙ্গিন বাক্সে বোকাদের ভিড় প্রতিশ্রুতির ফানুস
বদলা আগে পরে বদল
খালি কোল মা কাঁদে সজল
ঐ দেখ সব আসছে পরিবর্তন নাকি সচল রবে গড্ডালিকাপ্রবাহ
ঊর্দ্ধমুখী মূল্য, নিম্নমুখী মূল্যবোধের জেরে মানুষ ঝুলছে উদবাহ
তবুও আসে বৈশাখ তার প্রাণ ভরা আগুন নিয়ে
শুভ নববর্ষ জানাই সবারে, সুখ শান্তি আর সমৃদ্ধি চেয়ে...
 

আপনাদের সুপ্রতীক
পয়লা বৈশাখ, ১৪১৮

 

 

কথারূপ

মিলনই কাব্য -কথকতা। মিলন নেই বিরহ। মিলন নেই যুগলরূপ হারিয়ে যায়। যুগলরূপই মহাকাব্য।

যদি মিলনের আর্তি না থাকে, কবিতা নেই। প্রেম নেই। প্রেম নৈঃশব্দ্যের এক ভাষা। প্রেম এক বিমূর্ত রূপ।

এখানে আইন-আদালত, রাষ্ট্রচক্ষু কেউ নেই। কেউ থাকতে পারে না এবং প্রেম কবিতাও। কবিতা কথনও রাষ্ট্রশক্তির কাছে নত নয়।

মেরুদন্ড নুইয়েও ফেলবে না। যদিও আমরা দেখতে পাই, দেশে কালে কালে, রাষ্ট্র চেয়েছে কবি-শিল্প-বুদ্ধিজীবীদের

ক্রয় করতে। কেউ কেউ বিক্রিতা হয়। কেউ কেউ নিজেকে বিক্রি করে, পুরস্কারে আহ্লাদে ধন্য হয়।

আমি ফুলের কাছে ধন্য হবো। মানুষের কাছে মানুষ হয়ে ধন্য হবো। আমি তোর কাছে অভি, ধন্য হতে চাই,

তোর কাছেও। তোর চোখের জলে আমার আকাশ দেখি।.............
 


রাধাভাব

 

এক শীর্ণ নদীর পারে আমার এক বন্ধু থাকে। বন্ধু কী, চিরসখা বলাই বোধহয় শ্রেষ্ঠ কাজ হবে। কেননা, চিরসখার জন্যই যে মন করে আছাড়ি-পিছাড়ি। তার মন আমার মতো কাঁদুক, আমি চাই না, চাইলেও কাঁদবে না সে। সে যে চিরসখা যার বাঁধনে বিরহ। বিরহ বিষও। আজ বিষের থালা উপভোগ করছি। এই উপভোগই আমাকে ভোগবিলাস থেকে দূরে রাখে। তাই, আমি আছি এখনও আরাধনায়। যদি ফুল ফোটো, যদি সৌরভ এসে আকুল করে চরাচর, তাই ধ্যান, তাই কান্না, তাই হাহাকার। আর্তি এবং না-পাওয়ার বেদনা। মূর্তি আছে কিন্তু অধরা। আর অধরা মাধুরীকে ছন্দোবন্ধনে রাখা কি যে কঠিন। সারা জীবনের মন দিলেও ধরে রাখতে পারব না। কি রাখতে পারি, কি ধরে রাখতে পারি এই এক জীবনে, কিছুই না। নিজেকেও যে ধরে রাখতে পারি না। এই ধরিত্রী, প্রকৃতি-সমস্তই থেকে যাবে, যেমন থাকার। শুধু নিজে থাকব না।...........
 

রাধা রমণের  গান

কার কুঞ্জে নিশি ভোর রে রসবাজ রাধার মনচোর
সারা নিশি জাগরণে আখিঁ হইল ঘোর

হাসিয়া ঢলিয়া পড়ে যেমন নিশা ঘোর
কোন কামিনী দিল তোমার কপালের সিন্দুর  

নিশি ভোরে আসিয়াছে নিদয়া নিষ্ঠুর
পথহারা হইয়া নাকি আইলায় এতদূর

মিটিমিটি চাও বন্ধু রাধার মনচোর
রমণ বলে রাধার হাতে বিচার হবে তোর

 

 

কবিতা

শীতল আগুন!

শ্বেতা শুভ্রা তোমার পাশে অন্য কাউকে দেখলে
আমার মনে শ্বাসরোধ করা হিংসে হয় কেন!
আজও কেন তুমি আমার দিন রাত এক করে দাও
দূরে তুমি আজ অনেক দূরে তবুও কি করে!
ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি!
আমি নীরবে পুড়তে ভালবাসি
তুমি তো বুঝেও বোঝনা মন!...

রূপকথার শরীর

আমাদের মাঝে বহু বছর কেটে গেছে দেখা-সাক্ষাৎহীন
বদলে গেছি আমি

বদলে গেছে সময়
এখন তোমার জন্যে বন্ধুতা আছে প্রেম নেই
ভালোবাসা আছে কাম নেই
ফ্রিজিড নিঃশ্বাস আছে উষ্ণতা নেই
যতটুকু আছে পোড়ামন, ধ্যানে.......

 

 

 

দ্বিধা

 

বৃষ্টি পড়ার ফাঁকে ফাঁকে দ্বিধাগুলো
ঝরে পড়ছিল
তুমি হয়ত ভাবছো
এইসব দ্বিধাগুলো কতটুকু ছুঁয়ে গেছে আমাকে
কিংবা ভাবছো কোনো তুচ্ছ ভূমিকায়
আমি ফেটে পড়বো অতিকায়
আজ পথে পথে হাওয়া, পাখিদের গান......
 

 

লোকটা

লোকটার সাথে দেখা শহর থেকে দূরে

এক পড়ন্ত বিকেলের ধোঁয়াশামাখা আলোয়
লোকটাকে চেনা শহরের বুকে গাড়ি নিয়ে ছুটতে ছুটতে

 ট্র্যাফিক সিগন্যাল ভাঙার খেলায়
লোকটা হাজার বছর ধরে ছুটে চলেছে

বল্গাহীন-আজ কি সে একটু শ্রান্ত!
লোকটার চারপাশে শুভ্র শীতের খরখরে রিক্ততা,

মনের আঙিনায় আজও তরতাজা বসন্ত
লোকটা সারাটা জীবন ডুবে থেকেছে কেজো ব্যস্ততায়,

হয়তো বা হারিয়ে যেতে চেয়েছে.....

 

বেতবনের উপকথা


একদা বসতি ছিল সেখানে আমার।
বুঝিনি তখন-
বস্তুতঃ আমার আকাঙ্খা প্রস্তুত ছিল না। তখন
নিঃশব্দে মাছ ধরা দেখেছি উন্মুল মাছরাঙা ঠোঁটে
আর দেখেছি বেতের ছায়া পড়া; সন্দর্ভ পানিতে...
 

 

রহস্যলতিকা


রহস্যলতিকা, আজ বসে আছো ভেবে
তোমার ঘূর্ণনরীতি কেন্দ্রাভিমুখে ছুটে আসছে
বারবার
এইবার ভেবে দেখা যাক
রহস্যলতিকার নামে কতবার ঠকিয়েছে
কতবার তাকে বসতে দিয়েরে...
 

শিকড় থেকে দূরে

তুমি শিকড় থেকে সামান্য দুরে আছো ঘুমহীন।
তোমার চোখে রক্ত আছে কালো, পুঁজ আছে নীল,
পোড়াক্ষতের মতো বেদনা আছে, তাই
ভালোবাসার স্তব্ধ জ্বলন বুঝো না।
পাহাড়ে হ্রদ ছিল গোপন, হ্রদের ছিল ঢেউ
ঢেউয়ের কৃত্রিম ডাক মেঘ জানে, রোদ জানে
তুমি জানো না।
তুমি শিকড় থেকে সামান্য দূরে...

 

প্রতিকৃতি


আয়নার সামনে মানুষের প্রতিকৃতি
কীরূপে জেগে ওঠে
তাতে কতটুকু আত্মপরিচয় উঠে আসে হাতে
দীর্ঘ রাত্রির ক্লান্তি কতটুকু ফুটে উঠেছে
নাকি প্রতিবিম্বে সহসাই ঝরে পড়ছে সব
নাকি সংসার বিমুখ ক্লান্ত মুখগুলো ফিরে আসছে
বাড়ি ফেরার আকুলতা নিয়ে ...
 
 

 

তীর : স্বপ্নের ব্যাখ্যা

বসন্তদিনে উড়ছে তুলোমেঘ
তবু খা খা করছে বিরানভূমি...
তীর আমার কাছে স্বপ্নের ব্যাখ্যা
তীরবিহীন রয়েছি শব হয়ে, তীর ফেরত চাইছি
আমার ইচ্ছের তীব্র তীর ধরে ফেলেছ তুমি
তাই শূন্য রয়েছি, একা...
 

অন্যরকম চোখ
 

মেঘ লুকোবার পূর্বের জেনেছি বৃষ্টি প্রতিভা
পুরনো কথার ছলে আমাদের যে নৈকট্য-প্রবাস
আমি তো সব লিখতে চাই বৃষ্টির গায়ে
পথের ব্যঞ্জন কাদামাটির মহিমায় আক্রান্ত
আলপথে জল জমে সাতরঙা ভোরে

উড়ালের সন্নিকটে পাখিখেলায় আমার ছায়া মাড়ায় অতলরাত

ফিরে আসার সূত্র ধরে গেয়ে যাও মাঝি-
ওগো মাঝি নাও ভিড়াও কিনারে!.....
 

সম্ভাবনা

 

চৈত্রমাসে পলাশ ফোটে পাতার বর্ণ হয় ধূসর
ভ্যাপসা গরমে তৃষ্ণার্ত আমি কামনা করি বৃষ্টির
আশায়-আশায় স্বপ্ন জাগে তাকানো যে দৃষ্টিকাতর
ঝড়ের গতি বেড়ে গেলে গাছগাছালির করুণ সুর, মর্মর
বৃষ্টিতে কার না ভাল লাগে, ভাবনা জমা অষ্টপ্রহর
ছায়াকে যখন কামনা করি-হেসে ওঠে রোদের প্রখর
আবার যখন তৃষ্ণার্ত হবো ঢেলে দিও জলের আদর
চোখের জল শুকিয়ে গেলে জমা পড়ে লবণের স্তর
.....

 

 

না-ফোটা ফুল

এভাবেই বদলে যাবে সবকিছু
ঝরে যাবে না-ফোটা সব ফুল, তবু
মুহূর্তটি সত্য নয় যখন
মৃত্যু-সম্পৃক্ত আয়ুতে ভেসে ওঠে
বেঁচে থাকা বাতাস।
ক্ষয়ে গেছে ইচ্ছে-রঙিন আলো
বয়সের পূর্ণতা অপূর্ণ ভালোবাসায়;
বদলে যায়, তবু
মুহূর্তটি সত্য নয় যখন-
ফিরে আসে পাতা কুড়োনো ভোর আর
জন্মদাগ ছেনে ভেসে উঠে সুন্দর পারাপার......
 
 

গ্লানি
 

গাছেরও নিদ্রা থাকে, পাতার থাকে ওড়ার সাধ
রোদের থাকে হাসির ঝলক, ছায়ার থাকে মায়া
তাই রোদের গায়ে মিছে আছে ছায়া হয়ত নিরাশ্রয়ে
শেকড়-বাকড়ের সংশয় ছিল আগে, এখনও জাগে-
ঝড়ের গতি বেড়ে গেলে
কিন্তু মেঘের গর্জনে কখনো আকাশ ফাটেনি
গাছের নিদ্রা আরো কিছুটা বাড়ে
মেঘের কষ্ট আছে বৈকি, আমার চোখে গ্লানি......

 

 

জিজ্ঞাসা


নিয়তি আমাকে প্ররোচিত করে হরহামেশা
জীবনের করাতকলে বেঁধে-
শব্দ আর ভাষার রকমারি প্যাঁচে আজো
রয়ে গেছি আমি অবোধ বালক
ওগো প্রত্নতাত্ত্বিক, মাটি খুঁড়ে বের করো
অজ্ঞাত করোটির কিছু পাথর আর শিলা
ওগো হৃদরমণী, হৃদতাত্ত্বিক ভাষা দিয়ে
হৃদয়ের দাবিটুকু আজো কেন ফোটাতে পারোনি
...
 

 

আলোকজল

শব্দবিশ্বের প্রতি নির্মোহ টান:
যা লিখিনি, যা লিখবো বলে ভাবিনি অথচ লেখা হবে

যাকে আরাধ্য ভেবে পৃথিবীর সব ফুল উন্মুখ
তাকিয়ে রয়েছে, সব পাখি গাইছে গান
তারাদের অফুরান জ্যোতি বিন্দু বিন্দু আলোকজল
ছড়িয়ে পড়েছে সবদিকে
নদীগুলো ছুটেছে সাগরময়
তৃণদের চোখেও রূপোলি বিস্ময়, কুয়াশা রঙিন....

প্রবন্ধ

কবিতা ও চিন্তার সূত্রসন্ধান

কাংখিত আত্মছায়ার নেপথ্যে এই যে শব্দগহন কল্পকাম, তাকে ক্রমশঃ গড়িয়ে এনেছে আত্মজীবন। মূর্ত থেকে বিমূর্ততা-প্রতিমূর্ততাও ভাঙছে প্রতিনিয়ত। তখন হয়তো রাত্রিক্রোড়, সমগ্রতীর-জীবন বাস্তবতার আড়ালে তার ইস্পিতেরে খুঁজে-ফেরা; পেয়ে, বা না-পেয়ে পুনশ্চঃযাত্রা। কবিতাকে কতটুকুই বা জাগিয়ে তুলতে পারেন একজন আমৃত্যু নিভৃতচারী নিমগ্ন কবি? কতখানি শব্দসঙ্গমে চুপিচুপি মন্থন করে নিতে পারেন কবিতার অমরাবতী পুরী? কবি অপরাপর ফেঁসে যান চারদেয়ালের ঘেরাটোপে-তবুও বিবৃত করেন গল্প ফেলে প্রস্থানের অমৃতকথন......

 

 

*

*

যাদের রক্তে মুক্ত এ দেশ

 

*

*

ধারাবাহিক গল্প

পৃথিবীলোক

মমো প্রতিদিন এই দৃশ্যটা দেখার জন্য সন্তর্পণে ঘাটে এসে পা ডুবিয়ে বসে থাকে। আজ ওসব কিছুই তার চোখে পড়ছে না। পাখিটা আছে কি নেই। সে যেন এক ঘোরের মধ্যে রয়েছে কদিন ধরে। মাঝে মাঝে সে যেন সত্যিই অনুভব করতে পারছে যে পৃথিবীটা ঘুরছে। সে যেন দেখতে পাচ্ছে এই বলয়ের ধীরে ধীরে ঘুরে যাওয়ার দৃশ্য। তবে কি সে সত্যিই প্রেমে পড়েছে জয়ের কথা বলার ভঙ্গি, জয়ের ছটফটানি, ওর সিল্কি চুল চোখের ওপর এসে পড়া, সব কিছু প্রতি মুহূর্তে চলন্ত ছবির মতো মমোর চোখে ভেসে ওঠে। এর নামই কি ভালোবাসা সে যেন এই প্রথম অনুভব করতে পারছে তার অস্তিত্ব তার নারীত্ব। ........

 

একাধিক একা

ঝুমা অনেক কথা বলে যাচ্ছিল, আর আমি তার কিছু শুনছিলাম, কিছু শুনছিলাম না, কেবল মুগ্ধ হয়ে তাকিয়েছিলাম ওর দিকে। ঝুমা শেষে বলল, রঞ্জু দা এবার একটা মোবাইল ফোন নাও। আমি তো তোমায় জানাতেও পারছি না যে আমার দেরী হচ্ছে। আমি মুচকি হাসতে হাসতে ঝুমাকে উপহারগুলো দিলাম। একবার চোখ বুলিয়ে ভদ্রতার থ্যাঙ্ক ইউ বলল। খুবই সাধারণ জিনিষ। উচ্ছসিত হবার মত কিছু নয়। উড়িষ্যার বাটিকের কাজ করা ঝোলানো ব্যাগ। ঝিনুক আর কাঠের মালা। যা প্রায় সকলের বাড়িতেই খুঁজলে এক আধটা পাওয়া যাবে। তবে যেটা দেখে ঝুমা খুব অবাক হবে ভেবেছিলাম, সেটাও সে খুব স্বাভাবিকভাবে ব্যাগের মধ্যে রেখে দিল। একটা মুঠো সাইজের কড়িরোপর ওর নাম লেখা। অনেকেই লেখাচ্ছে দেখে আমার ঝুমার কথাই মনে পড়ে। হয়তো বাড়িতে ফিরে ভালো করে দেখে অনুধাবন করবে আর আমার আকাঙ্খিত হাসিটা হেসে উঠবে। কেবল আমার দেখা হবে না তা।......
 

 

সুখের লাগিয়া

ছোটবেলায় কবিতা পড়েছিলাম, ‘হাস্যমুখে অদৃষ্টেরে করব মোরা পরিহাস।’ লাইনটি পড়ে মনে শক্তি সঞ্চয় করতাম।উতসাহ বোধ হতো। ভবিষ্যত জীবনে আমারাও তুড়ি মেরে যা কিছু অশুভ, অশোভন সব কিছু দূর করে এগিয়ে যাব। মানুষের যত দুঃখ, বেদনা, দুর্দশা, যন্ত্রণা – সব মচোন করে সুখ তৈরি করতে সাহায্য করবো। মনে হতো মানুষের অসাধ্য কিছুই নেই। ইচ্ছাই তার প্রধান চালিকা শক্তি।  কিন্তু না, অদৃষ্টকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারিনি। আনন্দ সৃষ্টির নিরন্তর প্রয়াস আমার বিঘ্নিত হয়েছে। মুখ থুবড়ে পড়েছি বারবার। ভাগ্যের হাতে বড় নির্মম  ভাবে নিপীড়িত, নিগৃহীত হয়েছি। তবুও উঠে দাঁড়িয়েছি আশায় বুক বেঁধে ......

 

*

*

*

আর্কাইভ

 

Best view with Microsoft Internet Explorer
font download link
http://omicronlab.com/download/fonts/SolaimanLipi_20-04-07.ttf