নব আলোকে বাংলা

উত্তরাধিকার। অঙ্গীকার। দূরদৃষ্টি।

 

সম্পাদক

সুপ্রতীক অরূপ ঘোষ

পাঠক পরিষদঃ চঞ্চল চৌধুরী, শুভলগ্না শোয়ারা

এবারের প্রকাশনাঃ  দোল – ২০১১
 

 

সম্পাদকীয় ছন্দাবলী ২৩
 

হিরোশিমা নাগাসাকি’র পরে এত বড় ধাক্কা জাপান খায়নি
জীবিতের হাতে মৃতদেহের অঙ্ক আর যাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি
তিনটে ট্রেনের কোনও খবর নেই
আছে কোন অচেনা ষ্টেশানে দাঁড়িয়েই
দিশেহারা গৃহহারা মানুষ আজ একটাই রঙ জানে
মৃত্যুর ধূসর রঙ ছড়ানো মুহ্যমান শোকার্ত মনে প্রাণে
জাপানীরা কি হোলি খেলে, তাদের কি রঙের সাথে আড়ি
একটাই খবর এখন চৌকো বাক্সে লাশ রাখা সারি সারি
আমাদের দেশে রোজ কত লাশ পড়ে নাম না জানা লাশ
সয়ে নিতে শিখেছি কবে থেকে, শিখিয়েছে আমাদের চারপাশ
সুনামী চাইনা চাইনা নেতাই চাইনা নন্দীগ্রাম আর নয় চমকাইতলা
অন্তরমুখী শানানো সংগীন চায়না আর এবার ঘরে ফেরার পালা
এবার বসন্ত উতসবে যাবনা রঙের মিছিল করবনা
এবার আমি শ্বেতাম্বরও হবনা ভাং খেয়েও নাচবনা
তবুও কি চলবে চারিদিকে মানুষ খুনের পাইকারী কারবার
সর্বংসহা ধরিত্রী আড়মোড়া ভেঙ্গেছে খুনেরা হুশিয়ার, থাম এবার
এবার দোল নয় দোলা দিক মনে প্রাণে
মানুষ যেন বাঁচে ভালবাসার আপন টানে
এই হোলিকা সবার মনে ভালবাসার রঙ ধরাক ধরিত্রী মাকে শান্তি দিক
আত্মাপুরের ডাক শুনে মন আয়রে এবার শান্ত হয়ে করি নীরবতার পিকনিক...
 

আপনাদের সুপ্রতীক

১৫ই মার্চ ২০১১,  ১লা চৈত্র ১৪১৭

 

***

 

অনাগতা হোলিকা
মধুবন্তী


কিছু লিখবো বলে বসিনি তবু লিখতে ইচ্ছে হলো,
কি লিখবো আজ ভাবনাগুলো বড় এলোমেলো।
লেখার কাছে গিয়েছি বারবার, সে ফিরিয়ে দিয়েছে,
কলম ধরা আঙুলগুলো আজ হঠাৎ থমকে গেছে।
রং চিনিয়েছিলে তুমি, জীবনে রং হয় যতরকম,
ক্যানভাস তৈরী করে ছবি এঁকেছিলে রাঙিয়ে দিয়ে মন।
ধূসর রঙা পিচ রাস্তা যেখানে গিয়ে মিশেছে সবুজ দিগন্তে,
কথা ছিলো সেই মিলনমেলায় হোলি খেলবো আমরা মনের অতলান্তে।
অস্তগামী সূর্য যখন একমুঠো লাল রঙ ছড়িয়ে দেবে আকাশের গায়ে,
তোমার বাঁশির সুরে স্নান করব দুজনে স্বপ্ননীল গহীন জলে কদম্ববন ছায়ে।
রূপোলী জোৎস্নায় জোনাকীসবুজ শাড়ি পরে কালো রাত্রির বুকে অশান্ত আমি,
ঘ্রাণে অন্তঃসলিলা যুঁই ফুলের সুবাস নিয়ে গাইবে মিলনের রাগ কথা দিয়েছিল তুমি।
ভোরের আভা চুঁইয়ে নামবে আমার সীমন্তপথে তোমার চোখের কোণে,
আঁজলাভরা রঙ ছিটিয়ে দোঁহে হরেক রঙা ফুল ফোটাবো প্রকৃতির কোলে...
বড় গভীর অন্ধকার আজ, আমার মন-আরশি ভেঙ্গে চুরমার বলে।
অদম্য বান এসেছে অশ্রুনদীতে, ধুয়ে যাওয়া ক্যানভাস ছিন্নবিচ্ছিন্ন।
আকাশ মুখ ঢেকেছে ঝড়ের মাতনে, অন্তরে নীরব চীল-চিৎকার নিরবচ্ছিন্ন।।
মিলনের রাগ তো ভেসে আসেনা গুমড়ে মরে গুরু গুরু জলদ গর্জন...
বসন্তের সমাগম আজ তবু মনের গভীরে অনিমেষ চাপা বারিবষর্ণ...
কলম চলেনা আজ আর, বিবর্ণ ক্যানভাসে স্তব্ধ হলো রঙের মেলা...
থেমে আছে জীবনের সুর,অপেক্ষা তোমার আসার আর মাতাল রঙ্গোলী হোলি খেলা...
 

***
 

  শালু ও কবি 

 

ভোর হল... দিন শুরু হল... আলো ফুটছে... রামধনু বাজছে... সবুজ মাঠের পারে... কচি ঘাসের পরে... দুটি ভিন্ন গোত্রের পাখী... কথা নেই মিলেছে চার আঁখী...

সুপ্রতীক অরূপ ঘোষ

 

দীর্ঘ নীরবতা। শ্বেত কবুতর মুখ খুলল। বক বক বকম শুরু। শালিখ পাখী আপন মনে শোনে। তারপরঃ

 

শালিখ পাখীঃ কি ব্যাপার বন্ধু! শান্তি বাবু সাত সকালে এত বকম বকম কিসের!

শ্বেত কবুতরঃ এরকম তো আমি রোজই করে থাকি শালু!

শালিখ পাখীঃ কি?!!!

শ্বেত কবুতরঃ এই জান এখন থেকে তোমাকে আমি শালু নামেই ডাকব... আপত্তি?

শালিখ পাখীঃ নাহ, আপত্তি কিসের, আমারও বেশ লাগছে শুনে, শালু...(ট্যাঁ ট্যাঁ ট্যাঁ)। আমিও তাহলে তোমার লম্বা নামটা ছেঁটে দিলাম...

শ্বেত কবুতরঃ (আপন উত্তাল হৃয়য়ের ঢেউ শুনে...) কি নাম দিলে আমার তুমি!

শালুঃ কবু... কবি... ক্যাবস! কেমন? যখন যেটা মনে হবে তাই ডাকব!

শ্বেত কবুতরঃ বাহ। বেশ লাগছে তো... হ্যাঁ হ্যাঁ তাই ডেকো শালু... শালি... শালুয়া।

শালুঃ তুমিও কিছু কম যাওনা দেখি!

কবিঃ যাইনা তো! আমাকে দেখ। দুপেয়ে দের সমাজে আমি শান্তির দূত আর আমার মধ্যে যে কবি আছে সেটা তারা কেউ জানেনা, জানতে চায়ও না। অথচ...

শালুঃ অথচ কি?

কবিঃ অথচঃ আমি কত কি ভাবি! আমার মধ্যে এক প্রেমিক আছে, এক পুরুষ আছে, এক প্রাণ আছে যা তুমি আজ সকালে আমাকে ফিরিয়ে দিলে...

শালুঃ ফিরিয়ে দিলাম! নিয়েছিলাম কবে?

কবিঃ এই দেখ! কথা ধর কেন? ফিরিয়ে দিলে মানে আমাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলে! ঐ যে একটা গান আছেনা আমাকে আমার মত থাকতে দাও... না কি...

শালুঃ তুমি আবার গানও শোন ক্যাবস? বেশ খাসা আছ দোস্ত...

কবিঃ হ্যাঁ গো শালুয়া আমি গান শুনি... ভাল লাগলে দুএক কলি আমার বকম বকমের মধ্যে ঢুকিয়েও দিই...(গুনগুনিয়ে) আমাকে আমার মত থাকতে দাও...

শালুঃ বেশ... এই শোন আজ এই সাত সকালে তুমি শান্তি প্রচারে না গিয়ে হঠাত এই খোলা আকশের নিচে বসে কি করছিলে?

কবিঃ নাহ আমি এখন শান্তির দূত নই। এখন সে কাজ সঁপা হয়েছে সাদা টুপি পরা আর লাল ঝাণ্ডা মার্কা শান্তি রক্ষকের হাতে। আমি এখন এক প্রাচীন চিহ্ন হয়েই আছি। সেদিন দেখলাম আমার ছবি এক ছেঁড়া খামের ওপরে আর জান...শালু!

শালুঃ কি?

কবিঃ এক সাদা টুপি এই ময়দানে নামল এসে তার বিদেশী গাড়ি থেকে আর তার প্রথম পা পড়ল আমার ওপরে... আমি গুমড়ে উঠলাম।। কেউ শুনতে পেলনা!

শালুঃ মন খারাপ করনা কবি... নালায়ক নাদান ওরা কি জানে তোমার মূল্য!

কবিঃ নাহ, এখন মন খারাপ করিনা... করেই বা কি করব বল... এখন আমার সব ভাই বোনেদের জায়গা হয়েছে হয় বড় লোকের ঘরে লৌহ শলাকার পিছনে নয়ত চিড়িয়াখানার খাঁচায়...

শালুঃ এই! তুমি কিন্তু কাতর হয়ে পড়ছ... আরে আমাকে দেখনা... আমাকে লোকে কত কি বলে... আমার নাম শালিখ... কেউ বলে শারি, শারিকা আবার কেউ বলে বাদামী ময়না... শালারা ভেবেছে কি?

কবিঃ বল বল বল তোমার কথা বল শালু... ধ্যাত আমি কেবল আমার নিজের কথাই ভাবছিলাম... ধিক আমাকে...

শালুঃ না না সেরকম কিছু নেই আমার বলার। তবে ঐ বাদামী ময়না নামটা আমাকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ফেলে দেয় বলে মনে হলে খুব কষ্ট হয় জান কবু!

কবিঃ বুঝি শালু আমি বুঝি তোমার মনের অবস্থা... আচ্ছা আমি যে তোমাকে শালু বলে ডাকলাম তুমি তাতে কিছু মনে করনি তো শালু?

শালুঃ এই যে হাঁদারাম বেকার শান্তির দূত আমি কিছু মনে করলে কি আর বলতাম আমার বেশ লাগছে শালু নামটা শুনে? বলি আজকাল কি খাও না কি খাওয়া দাওয়াও জোটেনা ঠিক মত?

কবিঃ ও হ্যাঁ আমারই ভুল শালু... আমারও খুব ভাল লাগছে জেনে...যে তোমার ভাল লাগছে শালু নামটা!

শালুঃ কি হাল করেছ নিজের খেয়াল আছে?

কবিঃ কি হাল করেছি আবার?

শালুঃ আবার? তুমি কি মনে কর আমি কিছুই দেখিনা?

কবিঃ কি দেখ তুমি শালুয়া?

শালুঃ তোমার দুধ সাদা অঙ্গে এখন ধূসর প্রলেপ পড়েছে... কেন? শান্তি রক্ষার ঠিকাদাররা কি করল না কি বলল তাই বলে নিজের মাহাত্ম্য কেন শেষ হতে দেবে কবু?

কবিঃ ঠিক বলেছ তুমি শালু... আমাকে তো শ্বর পাঠিয়েছেন এই ধরায় আমার কাজ হল শান্তির প্রতীক হয়ে সকলের মনে বিরাজ করা আর আমিই কিনা নিজের যত্ন নিতে পারিনি!!!

শালুঃ যাক। আর দুঃখ নয়। চল একটু হালকা করে উড়ে আসি আর বুক ভরে নিশ্বাস নিয়ে আসি। এই ভিক্টরিয়া ময়দানে এই সাত সকালেই কি পলিউশ্যান দেখ ... দম বন্ধ হয়ে আসছে!

কবিঃ হ্যাঁ ঠিক বলেছ শালু চল!

শালুঃ আমার যে কি ভাল লাগছে কবি তোমার পাশে পাশে উড়তে কি বলব...

কবিঃ আমারও খুব ভাল লাগছে মনটা ভাল করে দিলে তুমি শালু... তোমাকে কি উপহার দিই বলত...

শালুঃ উপহার? আমি চেয়ে কিছু নিইনা যে কবি... আমার অনেক আছে... আমি তোমাকে পেয়েছি বন্ধু হিসেবে সেই আমার সবচেয়ে বড় উপহার...

কবিঃ শালু তুমি এত সুন্দর, এত নির্ম্মল তোমার অন্তর আর আমি তোমাকে কত নতুন করে চিনছি আজ... আমরা একই আকাশে উড়ি কিন্তু কতটুকু চিনি বল প্রাণের দোসরকে!

শালুঃ তাইতো আজ সকালে ঈশ্বর তোমাকে এই মাটিতে নামিয়ে এনেছেন। না হলে তো রাজভবনের উঠোনে এতক্ষ সরকারী দানাপাণি কাড়াকাড়ি করতে হত...

কবিঃ হ্যাঁ ভাল লাগেনা জান... এই বচ্ছরকার একদিন আমাকে বা আমার জাত ভাইদের কাউকে নিয়ে গিয়ে আকাশে উড়িয়ে দিয়ে কোনও এক সরকারী দালাল হাততালি কুড়োয় আর আমার তখন ক্ষিদে পেয়ে গেলেও আকাশে উড়তে হয়... সেবার...

শালুঃ সেবার কি?

কবিঃ সেবার জানুয়ারি মাসে আমার পালা ছিল আমার সঙ্গে আরও ৫৮ জন ছিল আমরা একটা বিশাল খাঁচায় ছিলাম। সকালবেলা নামল ঝিরঝির করে শেষ শীতের বৃষ্টি দেরী হল অনেক কেউ একবারের জন্যে ভাবেও নি আমাদের কথা! ক্ষিদেয় মাথা ঘুরছে... তার পর

শালুঃ তার পর কি হল?

কবিঃ তার পর যেই না আমাদের ডাক পড়েছে আমি তক্কে তক্কে ছিলাম আজ একটা কিছু করে বুঝিয়ে দিতে হবে...

শালুঃ কি?

কবিঃ বুঝিয়ে দিলামও... যেই খাঁচা খুলে আমাকে ধরতে এসেছে আমি সেই ঝালর টুপি পরা আর্দালীকে দিলাম হাতের মধ্যে ঠুকরে... অমনি আমি বাদ হয়ে গেলাম সেই অনুষ্ঠান থেকে... এখন

শালুঃ এখন কি কবি?

কবিঃ এখন আমি কি করে দিন চালাই সেসব কে আর খবর রাখে... আমি হলাম বাগী ও বেকার একটা সাধারণ পায়রা...সাদা রঙ ধূসর হয়েছে স্মৃতির অতলে...

শালুঃ চল এবারে একটু নামি... ঐ দেখ কি সুন্দর সবুজ নিচে ... চল ওখানে কিছু খেয়ে নেওয়া যাবে কবি...

কবিঃ হ্যাঁ চল...

শালুঃ জান আমার খুব মজা লাগে যখন দেখি আমাকে একা দেখলে কেউ ফিরেও তাকায়না! আমি যদি আমার আরেক ভাই বা বোনের সঙ্গে থাকি তবে নাকি মানুষের ভাল হয় আর আমি একা থাকলে নাকি দুঃখের... ঐ দুপেয়েরা বলে এমনটাই...

কবিঃ এটার মানে কি?

শালুঃ মানে টানে জানিনা... তবে এরকমটাই ওরা মেনে থাকে যেনে রাখ তুমি...

কবিঃ ওহ তাহলে আরও জানতে ইচ্ছে করছে... তুমি কি মিষ্টি করে কথা বল রেগে গেলেও বল... তুমি সত্যিই সুন্দর শালু...

শালুঃ আরও শোন... আমরা তিনজনে একসঙ্গে থাকলে নাকি ঐ দুপেয়েদের বাড়িতে চিঠি আসে... আর চারজন থাকলে না কি চরম সর্বনাশ...!

কবিঃ কি রকম?

শালুঃ আমরা চারজন একসঙ্গে থাকলে না কি বাড়িতে অনেক অতিথি আসে... ওরা বলে এমনটাই...

কবিঃ বুঝলাম কিন্তু অতিথি আসা তো ভাল... সর্বনাশের কি দেখলে তুমি শালুয়া?

শালুঃ বাহ রে তাই ত হবে - তাই না? আগেকার দিনে লোকে বলত – ‘অতিথি দেবঃ ভবঃ আর এখন বাড়িতে অতিথি আসলে প্রথমে খরচের চিন্তা তার পরে হল কে নেবে এত হ্যাঁপা... অতিথি সরকারের কাজ? তারপর যদি সেই অতিথি যদি খুব একটা কাজে না লাগে তবে তো আরও সর্বনাশ কারণ খরচটাই এক্কেবারে জলে...

কবিঃ কি বলছ তুমি শালু!!!

শালুঃ হ্যাঁ আমি ঠিকই বলছি... আমিতো কার্ণিশ আর ঘুলঘুলিতেই জীবন কাটিয়ে দিলাম কবি আমি এই দুপেয়েদের খুব কাছ থেকে দেখেছি তোমার মত খাঁচাবন্দী হয়ে দুরের আরামে নয়... এই তুমি দুঃখ পেলে বন্ধু?

কবিঃ না না তুমি তো ঠিকই বলেছ...

শালুঃ অবশ্য বাদামী ময়না হয়ে আমাদের কেউ কেউ আজকাল খাঁচায় জায়গা পায় তবে আমরা হলাম আম জনতা সর্বহারার দল যাদের শৃংখল ছাড়া হারাবার কিছুই নেই!

কবিঃ এই শালুয়া তুমি তো ঐ আলিমুদ্দিনের গান গাইছ ... কি ব্যাপার?

শালুঃ আরে না না কোনও ব্যাপার নেই... আমরা ঐ আমদানী করা বুলি বলিনা ... আমাদের জীবন আমাদের গল্প বলে দেয়... আর আজকাল তো আলিমুদ্দিনের সর্বহারাদের অনেক প্রতিপত্তি আর সম্পদ...

কবিঃ হ্যাঁ এরকম আমিও শুনেছি...তবে কে সেই দলে নেই বল? কেউ ধরা পড়ে গেছে আর কেউ এখনও সেই জালের বাইরে আছে... ধরা পড়তেই হবে... সততার প্রতীক কথাটা রাজনীতির ঠিকাদারদের অভিধানে নেই শালু... এটা মেনে নাও...  

শালুঃ হ্যাঁ! আমি রোজ ঘুলঘুলি দিয়ে বোকা বাক্সে যাসব দেখায় সবই দেখি... কোন সর্বহারার কত সম্পদ আর কোন সততার প্রতীক কত স্বচ্ছ সবই দেখি... কত্ত সব ঘোটালা তোমাকে আর কি বলব...

কবিঃ আচ্ছা শালু আমরা কি আমাদের অন্তরকে মলিন করে তুলছিনা এই সব বেকার আলোচনা করে... তার চেয়ে এস আবার...

শালুঃ আবার কি?

কবিঃ আবার আমরা বিশাল ঐ নীলে ফিরে যাই... আমাদের সব জ্ঞাতি ভাই বোনদের ডেকে নিই আর ...

শালু ও কবিঃ 

গান গাই ডানা মেলে

দূরে নীলে মন খেলে

পাখী কূল বাঁচুক উড়ে

ডানাসুখ থাক মন জুড়ে

 

***

 

 

যথারীতি প্রকাশনা

ধারাবাহিক গল্প

 

পৃথিবীলোক

একাধিক একা

*

প্রবন্ধ

যাদের রক্তে মুক্ত এ দেশ

*

আর্কাইভ

Best view with Microsoft Internet Explorer

Font download link: http://omicronlab.com/download/fonts/SolaimanLipi_20-04-07.ttf